আজ ৬ মার্চ ২০২১শনিবার সকাল ১০.৩০ মিঃ বাংলাদেশ পিপলস পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় রুপগঞ্জস্থ তাড়াইল দক্ষিণপাড়া খেলার মাঠে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি রাসেল হাবিব এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল সরদার চাখারী,প্রধান বক্তা মহাসচিব এআরএম জাফরুল্লাহ চৌধুরী ।সম্মেলন উদ্বোধন করেন বিভাগীয় প্রধান সমন্বয়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল কাদের,আরো উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ আতিকুর রহমান লিটন, ইসহাক খান , নাজমা আক্তার , ভাইস চেয়ারম্যান রোজী আক্তার মুন্নি , রানী শেখ , শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা শওকত হোসেন , যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস সরদার, সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুজামান বিশাল , সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জসিম সরদার প্রমুখ ।
সম্মেলন শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পার্টির চেয়ারম্যান প্রধান অতিথি মোঃ বাবুল সরদার চাখারী দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রেসিডিয়াম সদস্যবৃন্দ। শান্তির প্রতীক পায়রা নীল আকাশে উড়িয়ে দেন চেয়ারম্যান ও মহাসচিব ।পরে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয় এবং আগত অতিথিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন ।
প্রধান অতিথি পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল সরদার চাখারী বলেন ,রাজনীতি হলো মানব সেবা ।আমি মানুষের সেবা করতে রাজনীতিতে এসেছি।আমার সাথে যারা রাজনীতি করবেন তারা মানব সেবার ব্রত নিয়ে আসবেন, যারা স্বার্থ হাসিলের জন্য রাজনীতি করতে চান তাদের আমার সাথে রাজনীতি করার প্রয়োজন নাই। বাংলাদেশ পিপলস পার্টি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতন্ত্র অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি , দুর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায় ।তিনি আরো বলেন, বিএনপি এখন রাজনীতিতে দেউলিয়া হয়ে গেছে। ওদের ভুল রাজনীতির কারণে দেশে আজ ভারসাম্যহীন রাজনীতির চর্চা চলছে ,যা দেশের জন্য মঙ্গল জনক নয় । তাই বিএনপির প্রতি আমার আহ্বান ,এখনো সময় আছে নেতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসুন ,সঠিক রাজনীতির পথ বেছে নিন , দেশকে বাঁচান ।
সম্মেলনের প্রধান বক্তা মহাসচিব এ আর এম জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন , বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন , মুক্তির ডাক দিয়েছিলেন । আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু মুক্তি পাইনি ।অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে বলেছিলেন । দুর্ভাগ্য আমরা আজও ঐক্যবদ্ধ হতে পারি নাই । তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছর যা দিয়ে গেছেন তা কোন রাষ্ট্রনায়ক ৫০ বছরেও দিতে পারবে না । তিনি আর পাঁচটি বছর যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে বাংলাদেশে আজ চীন-জাপান ভিয়েতনামের শীর্ষে থাকতো । একটা কুচক্রী মহল তাকে হত্যা করে দেশকে একশত বছর পিছিয়ে দেয় ।প্রধান বক্তার বক্তব্যে আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন । তার উন্নয়নের ছোঁয়া রাজধানী থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ।আমাদের এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে ।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শক্তিশালী বিরোধী দল চান । দেশ পরিচালনার জন্য সরকারের পাশাপাশি শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা অপরিসীম । তিনি বলেন, দেশের মালিক জনগণ । প্রতি পাঁচ বছর পর পর ভোট দিয়ে তারা তাদের কর্তৃত্ব প্রমাণ করতে চায় ।বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থায় জনগণ স্বাধীন ভাবে ভোট দিতে পারে না । তাই এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণ ক্ষুব্দ। স্থানীয় সরকার থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ স্বাধীন ভাবে ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচন করতে পারে তার নিশ্চয়তা সরকারের কাছে চায় ।মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হলে কালোটাকা মুক্ত পেশিশক্তি মুক্ত নির্বাচনী ব্যবস্থা জনগণ চায় ।
